পাঁচ মাস আগে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কাজলরেখা’। দেশের বাইরের প্রেক্ষাগৃহেও প্রদর্শিত হয়েছে। এরপরও এত দিন যাঁরা ছবিটি দেখার সুযোগ পাননি, তাঁদের জন্য সুখবর। এখন থেকে ছবিটি তাঁরা ঘরে বসেই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে উপভোগ করতে পারবেন। গতকাল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ছবিপ্রেমীদের এই সুসংবাদ দেওয়ার পরদিন দেশের বাইরে থেকে পরিচালক পেলেন সুখবর। পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানতে পেরেছেন, রটারড্যাম চলচ্চিত্র উৎসবে অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা পেয়েছে তাঁর পরিচালিত ‘কাজলরেখা’। আজ শনিবার খবরটি প্রথম আলোকে জানালেন পরিচালক।
ADS
আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে বসবে উৎসবের মূল আসর। উৎসবে অংশ নিতে যাওয়ার কথা রয়েছে পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও অভিনয়শিল্পী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার।
ADS
গিয়াস উদ্দিন সেলিম বললেন, ‘মৈমনসিংহ গীতিকার যে গল্প বলার ধরন, সেটা হচ্ছে গানে গানে, কথায় কথায় রাতভর গল্প। এই যে গল্প বলার ধরন, সিনেমায় তাঁর উপস্থাপন কেমন হয়, তার একটা প্রচেষ্টা ছিল আমার। আর পাশাপাশি আমরা দূর অতীতে কেমন ছিলাম, কেমন কাপড়চোপড় পরতাম, রাজারা কেমন ছিল, ঘরবাড়ি কেমন ছিল—তা জাতির সামনে তুলে ধরেছি। আমরা সমৃদ্ধিশালী জাতি ছিলাম, সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ জাতি ছিলাম—“কাজলরেখা” ছবির মাধ্যমে এটাই জাতির সামনে তুলে ধরার প্রচেষ্টা ছিল।’
ADS
রটারড্যাম চলচ্চিত্র উৎসবকে নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্রের উৎসব হিসেবে মনে করছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। এ ধরনের উৎসবে নিজের বানানো নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র ‘কাজলরেখা’ নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দিত এই পরিচালক।
ADS
গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘আড়াই বছর ধরে আমরা “কাজলরেখা” চলচ্চিত্রের নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলাম। মুক্তির পর ছবিটি যখন দর্শক দেখেছেন, ভালোবাসা পেয়েছি, যতটা পাওয়ার ছিল। বলব না, অনেক অনেক দর্শক দেখেছেন, এটা বাস্তবও না। তবে এখন যেমন বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে, ২০ টাকা করে টিকিট—সবাই দেখতে পাবেন। ছবিটি মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহে যখন শুনতে পাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ এই ছবিটাকে তাঁদের একটি কোর্সে সংযুক্ত করেছে, তা–ও আনন্দদায়ক ছিল। পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ছবিটিকে নিয়ে থিসিস করছেন—যা উৎসাহব্যঞ্জক। আমরা তো আমাদের অতীতের পালার যে নিজস্ব ফর্ম, তা ভুলেই যাচ্ছিলাম। সেটা একটুখানি হলেও এই ছবির মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার দীর্ঘদিনের পরিশ্রমও সার্থক বলা চলে।’
ADS